শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ , ১৯ রমজান ১৪৪৫

ফিচার
  >
বিচিত্র

সোনা-হীরা খচিত বিশ্বের সবচেয়ে দামি বালিশ

নিউজজি ডেস্ক ২৬ জুন , ২০২২, ২০:৫৬:৩৫

370
  • ইন্টারনেট থেকে

ঢাকা: পছন্দের মাথার বালিশটি না হলে ঘুম আসে না অনেকেরই। কারও নরম বালিশ পছন্দের, কেউ আবার তুলনামূলক শক্ত বালিশে স্বচ্ছন্দ। কেউ একটি বালিশে মাথা দিয়ে রাত কাটান, কারও আবার একজোড়া লাগে। আসল কথা ‘আরাম কা মামলা’। সকলেই চান দিনশেষের ঘুমটি হোক নিশ্চিন্তির। কিন্তু সেই ‘শান্তির’ দাম কত হতে পারে?

নেদারল্যান্ডসের একজন ফিজিওথেরাপিস্ট, সার্ভিক্যাল বিশেষজ্ঞ ও ডিজাইনার  থিজস ভ্যান ডার হিলস্ট বহু গবেষণার পর বিশ্বের সবচেয়ে দামি বালিশের নকশা করেছেন। নেদারল্যান্ডসের জনৈক য় এক বালিশ তৈরি করেছেন। সেটিই বিশ্বের সবচেয়ে দামী বালিশ নাম ‘টেলরমেড পিলো’।

এই বিশেষজ্ঞের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, তার নকশা করা ‘টেইলরমেড বালিশ’ বিশ্বের সবচেয়ে এক্সক্লুসিভ এবং উন্নত মানের। এটি মিসরীয় তুলা এবং মালবেরি সিল্কের তৈরি। ভেতরে ডাচ মেমরি ফোম ভরা হয়েছে। বালিশটির বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৭ হাজার মার্কিন ডলার।

হিলস্টের এই বিশেষ বালিশ তৈরির জন্য প্রায় ১৫ বছর সময় নিয়েছেন। একটানা ১৫ বছরের গবেষণার ফল বিশ্বের সবচেয়ে দামী এই বালিশ। তার দাবি, এই বালিশে শুলে একাধিক শারীরিক ও মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। বিশেষত যারা ইনসোমনিয়া বা অনিদ্রা রোগে ভোগেন উপকৃত হবেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, জগত বিখ্যাত মিশরের তুলো রয়েছে মহার্ঘ বালিশে। এই তুলো হাতে নয়, বিশেষ ধরনের রোবোটিক মেশিনে উৎপাদিত। এছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে মালবেরি সিল্কের কাপড় এবং নন টক্সিক ডাচ ফোম।

কারখানায় রোবটের মাধ্যমে এই বালিশের তুলা প্রস্তুত করা হয়েছে। আসলে দামী তুলো, সিল্ক, ফোমের পাশাপাশি মণিমুক্ত দিয়ে সাজানো রাজকীয় এই বালিশ। বালিশটিতে ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের কাভার রয়েছে। চকচকে কাপড়ের এই আবরণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর ঘুমের জন্য সব ধরনের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণ আটকে দেয়। এতে ২২ দশমিক ৫ ক্যারেটের একটি নীলকান্তমনি এবং চারটি হীরার টুকরাও রয়েছে।

নিজের ওয়েবসাইটে এই বালিশের ব্যাপারে হিলস্ট বলেছেন, ‘হাই-টেক সলিউশন এবং পুরোনো ধাঁচের কারুশিল্পের সমন্বয়ে টেইলরমেডের এই বালিশ এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে সৃজনশীল এবং উন্নতমানের বালিশ।’

অনিদ্রায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের বালিশটি শান্তিতে ঘুমাতে সাহায্য করবে বলে দাবি করেছেন হিলস্ট। প্রত্যেক গ্রাহককে তাদের পছন্দ অনুযায়ী বালিশটি তৈরি করে দেওয়া হবে বলে ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে। থ্রিডি স্ক্যানার ব্যবহার করে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাঁধ, মাথা এবং ঘাড়ের পরিমাপ নেওয়ার পর এই বালিশ তৈরি করা হয়। পরে সেটি ডাচ মেমরি ফোম দিয়ে ভরা হয়। বালিশ তৈরির আগে গ্রাহকের শরীরের পরিমাপ এবং ঘুমানোর ভঙ্গিও জেনে নেওয়া হয়।

হিলস্ট বলেছেন, ‘আপনি ক্ষুদ্রাকায় অথবা বিশালদেহী, পুরুষ অথবা নারী, পার্শ্ব ফিরিয়ে অথবা পেছনের দিকে মুখ করে ঘুমালে তা কোনও ব্যাপার নয়। টেইলরমেড বালিশ আপনাকে সর্বোত্তম উপায়ে সহায়তা করবে।’

আসলে আরামের সঙ্গে, শরীর বিজ্ঞানকে ব্যবহার করার পাশাপাশি বালিশটিকে অপূর্ব করে সাজানো হয়েছে। সবটা মিলিয়ে দাম পৌঁছেছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। অতএব, ‘চাঁদ’ হাতে পাওয়ার, মানে ওই বালিশে ঘুমোনোর ইচ্ছে হলে ঘটিবাটি বেঁচতে হবে মধ্যবিত্তকে। এরপরে কি ‘টেলরমেড পিলো’তে শুয়ে ঘুম আসবে? এমনকী যে কতিপয় অর্থবানের সামর্থ্য আছে বিশ্বের সবেচেয়ে দামি বালিশ কেনার, তিনিও নিশ্চিন্ত রাত কাটাতে পারবেন না।

নিউজজি/এসজেড

 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন