শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ , ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার
  >
বিচিত্র

সমুদ্রের গভীরে তেলাপোকা সদৃশ বিশাল প্রাণীর সন্ধান

নিউজজি ডেস্ক ২৩ জুলাই , ২০২০, ২৩:৪৬:৪৩

857
  • সমুদ্রের গভীরে তেলাপোকা সদৃশ বিশাল প্রাণীর সন্ধান

ঢাকা : সমুদ্রের গভীরে তেলাপোকার মতো দেখতে বড় একটি প্রাণীর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ভারত মহাসাগরের গভীর থেকে এই প্রাণী ধরেছেন সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সমুদ্র বিজ্ঞানীরা। খবর বিবিসির।

প্রাণীটির রয়েছে ১৪ খানা পা, বিশাল দুই শুঁড়। বীভৎস মুখ আর বিকট আকার। গভীর, রহস্যময় সমুদ্রের অন্দরে যে আজব ও অচেনা প্রাণীরা বাস করে তাদের ধরতেই ১৪ দিনের অভিযানে নেমেছিলেন বিজ্ঞানীরা।

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা উপকূলে শুরু হয়েছিল সেই অভিযান। গভীর সমুদ্রে বাস করে এমন ১২ হাজার প্রাণীকে খুঁজে বার করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের মধ্যেই ছিল এই বিশাল তেলাপোকা।

তবে এটি সাধারণ তেলাপোকার মতো নয়। একই রকমের দেখতে হলেও পায়ের সংখ্যা ছয়ের বদলে চৌদ্দ। মুখের সামনে বিশাল দুই শুঁড়। কিছুটা সামুদ্রিক লবস্টারের সঙ্গে মিল আছে। এই প্রজাতির নাম রাখা হয়েছে ‘ব্যাথিনোমাস রাকসাসা’। ব্যাথিনোমাস গণের প্রাণীরা নতুন নয়। এই আরশোলা আসলে ব্যাথিনোমাসদেরই রাক্ষুসে প্রজাতি।

ব্যাথিনোমাসরা হলো সমুদ্রের ক্রাস্টাসিয়ান। ক্রাস্টাসিয়া বা ক্রাস্টাসীয় প্রাণীরা অমেরুদণ্ডী। সন্ধিপদ পর্বেরই অংশ। যেমন সামুদ্রিক লবস্টার, কাঁকড়া, শ্রিম্প ইত্যাদি। এদের শরীরে কাইটিন নির্মিত খোলস আছে। পায়ের সংখ্যা সবচেয়ে কম ছয়টি। বড় মাথা ও অনেকগুলো চোখ তথা পুঞ্জাক্ষী আছে। এদের কবচী প্রাণীও বলে।

ব্যাথিনোমাসরা হলো এই প্রাণীদেরই সুপার-জায়ান্ট। এমন ২০ প্রজাতির ব্যাথিনোমাসকে এখনও অবধি খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সমুদ্রের একেবারে গভীরে এরা বসবাস করে। ভারত মহাসাগর, আটলান্টিক, প্রশান্ত মহাসাগরে এদের খুঁজে পাওয়া যায়।

গবেষক দল ২০১৮ সালে দুই সপ্তাহ ধরে চালানো এক অভিযানে ৬৩টি বিভিন্ন গবেষণার স্থল আবিষ্কার করে এবং সেসব জায়গা থেকে কয়েক হাজার প্রাণী নমুনা হিসাবে সংগ্রহ করে। এর মধ্যে এক ডজনের মত নতুন প্রাণী তারা খুঁজে পান।

গবেষক দলটি জানায়, তারা ব্যাথিনোমাস প্রজাতির দুটি নমুনা পান- একটি পুরুষ যার দৈর্ঘ্য ৩৬.৩ সেন্টিমিটার এবং একটি নারী যেটি লম্বায় ২৯.৮ সেন্টিমিটার।

সুন্দা প্রণালী এবং দক্ষিণ জাভার সমুদ্র থেকে ব্যাথিনোমাসের আরো চারটি নমুনা তারা সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু মিস সিদাবালক বলছেন অন্য চারটিকে এই একই প্রজাতির মধ্যে ফেলা যাচ্ছে না কারণ এই প্রজাতির মধ্যে যে বিশেষত্বগুলো থাকা দরকার সেগুলো এখনও তাদের দেহে সেভাবে গড়ে ওঠেনি।

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন