রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ , ৬ জুমাদাউস সানি ১৪৪৬

ফিচার
  >
বিচিত্র

গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এ নাম লিখিয়েছেন মাইকেল অ্যামোইয়া

নিউজজি ডেস্ক ৮ নভেম্বর , ২০২২, ১৫:২৪:০৮

487
  • ছবি: ইন্টারনেট

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের এক বাসিন্দা মাইকেল অ্যামোইয়া তার শরীর জুড়ে ৮৬৪ টি পোকার ট্যাটু করিয়েছেন। যার জন্য তিনি রিসেন্টলি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এ নাম লিখিয়েছেন। মাইকেল নামের ওই যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা সর্বপ্রথম একটি লাল রানি পিঁপড়ার ট্যাটু করিয়েছিলেন যখন তার বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর।

এরপর একে একে সেই ট্যাটুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৬৪ তে । তার করা এই ট্যাটুগুলোর মধ্যে রয়েছে পিঁপড়া, মথ, বিটল, ইয়ারউইগ।

গলা ও বুক জুড়ে একটি মথের ট্যাটু রয়েছে ১৩ ইঞ্চির। তার বাম হাতে রয়েছে পিঁপড়ার ৮৯ টি ট্যাটু। এমনকি তার বাইসেপ পর্যন্ত রয়েছে আরও ৩৬ টি। পেটের ডান দিকে রয়েছে লাল পিঁপড়ার আরও ২৩ টি ট্যাটু।

মাইকেল ট্যাটু আঁকিয়েছেন ডান চোখের উপরে যা ২.৫ ইঞ্চি । ডানকানের পিছনের দিকে ইয়ারউইগ যা ২.৫ ইঞ্চি।

মাইকেল নামক এই ব্যক্তিটির কিন্তু পোকামাকড় একদমই পছন্দের নয়। তবুও তিনি এ পোকামাকড়ের ট্যাটু করিয়েছেন যাতে তিনি এই পোকা ভীতি দূর করতে পারেন।

শুধু পোকামাকড়ই নয়, মাইকেলের শরীরে মাকড়সা এবং দুটি বিশাল মিলিপিড রয়েছে। রেকর্ড এর ক্ষেত্রে এই ট্যাটু তিনটি কে গণনায় ধরা হয়নি। কারণ মাকড়সা এবং মিলিপিড পোকার স্তরে পড়ে না। কারণ মিলিপিড মাইরিয়াপড, এবং মাকড়সা হল আরাকনিড।

এই বিশেষত্বের কারণে শুধুমাত্র মাইকেলি নয় এর আগেও তিনজন এই রেকর্ড অর্জন করেছিলেন। যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা ব্যাক্সটার মিলসোম কীটপতঙ্গের ৪০২ টি ট্যাটু করিয়েছিলেন যা ২০২১ সালের সাথে আগস্ট গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ডের নাম লিখেয়েছে ইতপূর্বেই।

ব্যাক্সটারের পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বাসিন্দা যশুয়া থর্নটন ২০১৮ সালের ৩০ নভেম্বর করেছিলেন এই রেকর্ড। ২৮১ টিকিট পতঙ্গ দিয়ে আগের রেকর্ড ভেঙে ছিলেন তিনি। আরো একটি আশ্চর্যের ব্যাপার হল যশুয়া মাত্র ২৪ ঘন্টায় তার এ শরীরের সর্বস্ব ট্যাটু করিয়েছিলেন ৫ জন শিল্পী দ্বারা।

সর্বপ্রথম এই রেকর্ডটিতে ছিলেন কানাডার এক বাসিন্দা রিক জেনেস্ট। যিনি ১৭৬ টি কীটপতঙ্গের ট্যাটু দিয়ে ২০১১ সালের ২৭ এপ্রিল রেকর্ড করেন। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও এটি সত্য যে সবার চেয়ে প্রায় দ্বিগুন ট্যাটু করে এবার রেকর্ড গড়ে নিলেন মাইকেল। মাইকেল এই বিষয়ে জানান যে, গিনেস বুক থেকে অর্জিত অর্থ তিনি শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যায় করতে চান।

নিউজজি/এস দত্ত

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন