শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ , ১৯ রমজান ১৪৪৫

বিনোদন
  >
ব্যান্ড মিউজিক

অব্‌সকিউর ডেব্যু অ্যালবামে ১২ হাজার টাকা পায়- টিপু

 ৫ মে , ২০১৯, ১৩:১৭:৫১

54
  • অব্‌সকিউর ডেব্যু অ্যালবামে ১২ হাজার টাকা পায়- টিপু

নব্বই দশকে বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতে যে কয়েকটি ব্যান্ড অসামান্য অবদান রেখেছে, তার মধ্যে অন্যতম অব্‌সকিউর। পপ-রক ঘরানার গান দিয়ে সর্বস্তরের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা পায় ব্যান্ডটি। ‘মাঝরাতে চাঁদ যদি’, ‘ভণ্ড বাবা’, ‘মমতায় চেয়ে থাকা’ কিংবা ‘তুমি ছিলে কাল রাতে’র মতো কালজয়ী গানগুলো উপহার দেয় অব্‌সকিউর। 

খ্যাতিসম্পন্ন এই ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও ভোকালিস্ট সাইদ হাসান টিপু সম্প্রতি এসেছেন নিউজজি’র নিয়মিত সেলিব্রেটি আড্ডা ‘স্টার টক’-এ। সেখানে তিনি নিউজজি’র বিনোদন সম্পাদক মনজু আহমেদ-এর সঙ্গে গল্প-আড্ডায় মেতে ওঠেন। তাদের সেই আড্ডায় উঠে আসে অব্‌সকিউর প্রতিষ্ঠা, কালজয়ী গানগুলোর পেছনের গল্প এবং ব্যান্ডটির বর্তমান অবস্থা। সেই আড্ডার কিছু অংশ অনুলিখন করে তুলে ধরা হলো-

নিউজজি: অব্‌সকিউর যেই ধারার গান দিয়ে শুরু করেছিল, বর্তমানে সেটা পরিবর্তন হয়ে গেছে মনে হচ্ছে...

টিপু: না সেরকম না। আমাদের যেই ঘরানা ছিল, তাই আছে। আমরা পপ-রক ধাঁচের গান করতাম, এখনও তাই করছি। বিষয়ভিত্তিক গান আমরা শুরুর দিকেও করেছি। যেমন ‘ভণ্ড বাবা’। এখনও বিষয়ভিত্তিক গান করছি। একটা পরিবর্তন হয়েছে যে, ২০১৪ সাল থেকে প্রতিটা অ্যালবামে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশকে আলাদাভাবে ধারণ করার চেষ্টা করছি। আর আমাদের ঘরানার গান বলতে সবাই যেটা বোঝে, সেরকম গানও কিন্তু করছি। যেমন অ্যালবামে দেশ ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যদি ৩টি গান থাকে, তাহলে বাকি ৫টা গান কিন্তু আমাদের ঘরানার থাকে। 

নিউজজি: এখন কি নিয়মিত শো করেন? 

টিপু: অব্‌সকিউর যেই শো-গুলো করছে, সেগুলো খুব বেছে বেছে। আগের মতো সেই বয়সটাও নেই আমার। যৌবন যখন ছিল, ২২-২৩ বছরের সময় অনেক শো করেছি। তখনকার মতো তো এখন দৌড়াতে পারি না। এখন টেলিভিশন শো-গুলো করি, কারণ কষ্ট কম। চেষ্টা করি মাসে একটি টিভি শো করতে। আর স্টেজ শো একদমই বাছাই করে করি। 

নিউজজি: অব্‌সকিউর-এর কালজয়ী কোনো গানের গল্প যদি বলতেন... 

টিপু: ‘মাঝরাতে চাঁদ যদি আলো না বিলায়’ গানের গল্প বলি। এটা এহসান নামের একটি ছেলে লিখেছিল। সে কোনোদিনও গানের সঙ্গে জড়িত ছিল না। ১৯৮৫-তে আমরা যখন খুলনাতে অব্‌সকিউর প্রতিষ্ঠা করি, তখন আসলে একটা বিপ্লবের মতো হয়েছিল সেখানে। আমার বাড়ির এক তলার একটি ফ্ল্যাট ফাঁকা ছিল, সেখানে আমরা প্র্যাক্টিস করতাম। একটি হারমোনিয়াম আর একটি অ্যাকুইস্টিক গিটার, এই আমাদের যন্ত্র। ওই সময় আমাদের দলভুক্ত গীতিকার ছিলেন দুইজন। একজন এহসান আরেকজন সোহেল আলম চৌধুরী। ‘মাঝরাতে চাঁদ’ লিখে এহসান আমার কাছে এসে বলে, ‘টিপু ভাই, একটা গান লিখেছি। আমি তো জীবনে কোনোদিন গান লিখিনি। দেখেন তো এটা আমাদের অ্যালবামে করা যাবে কিনা?’ গানটা পড়ার পরই আমার ভীষণ ভালো লেগে যায়। তখনকার বয়সে তো এরকম কথাই ভালো লাগবে স্বাভাবিক। আমাদের সবার পছন্দ হয়ে যায়। আমরা ওই দিনই বসে গানটার সুর করি। তখনও আমরা কেউই জানতাম না যে, এটা একটা কালজয়ী গান হতে যাচ্ছে। একটা এভারগ্রিন গান হতে যাচ্ছে। আসলে তখন আমরা একটা গানের পেছনে যতটা সময় দিতাম, এখন তো কেউই সেটা দেই না। গানের পেছনে যদি পর্যাপ্ত সময় দেয়া যেত, তাহলে ভালো ভালো গান হত। 

দেখুন পুরো আড্ডাটি- 

নিউজজি/এসএফ

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন