বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ , ৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন
  >
ব্যান্ড মিউজিক

প্রচারবিমুখ আশিকুজ্জামান টুলু

নিউজজি প্রতিবেদক ১২ মার্চ , ২০২৩, ১৩:০৪:১০

510
  • ছবি: সংগৃহীত

‘তুমি আমার প্রথম সকাল’, ‘আমার হৃদয়ে তুমি’, ‘ওরে আমার পাগল মন’, ‘হেসে খেলে এই মনটা আমার’, ‘এই দূর পরবাসে তারা গুনি আকাশে আকাশে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের সুরকার আশিকুজ্জামান টুলু।

স্রোতের বিপরীতে যে কজন মানুষ যুদ্ধ করে বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং জনপ্রিয় করেছেন তাদের অন্যতম এই আশিকুজ্জামান টুলু। বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতের যে ক’জন জীবন্ত কিংবদন্তি আছেন তাদের অন্যতম এই আশিকুজ্জামান টুলু। যিনি সবসময় থেকেছেন প্রচারবিমুখ।

দেশসেরা একজন কীবোর্ডিসট, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ও সঙ্গীতশিল্পী টুলু। যিনি শুধু নিজে যত না ভালো গান গেয়েছেন তার চেয়েও অনেক বেশি ভালো গান অন্যদের দিয়ে গাইয়েছেন। যার কারণে আমরা পেয়েছিলাম খালিদ, হাসান, শামীম, পঞ্চম এর মতো প্রতিভাবান ও দারুণ কিছু কণ্ঠ।

যিনি ছিলেন ‘চাইম’ ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ব্যান্ড লিডার, ভোকাল ও কীবোর্ডিসট। ‘চাইম’ তাদের প্রথম অ্যালবামটির মতো আর কোন অ্যালবাম পরবর্তীতে উপহার দিতে পারেনি। কারণ প্রথম অ্যালবামে ছিলেন যে একজন আশিকুজ্জামান টুলু যিনি পরবর্তীতে ‘চাইম’ ব্যান্ড ত্যাগ করেন।

যার ফলে ‘চাইম’ পরবর্তীতে ‘নারী’ ও ‘জন্ম’ অ্যালবাম দিয়ে শ্রোতাদের মাঝে সাড়া ফেলতে পারেনি। ‘চাইম’র প্রথম অ্যালবামের সবকটি গানের সুর করেছেন আশিকুজ্জামান টুলু যে গানগুলো আজ প্রায় ৩০ বছর পরেও সেই সময়ের শ্রোতাদের মুখে মুখে।

৯০ এর শুরুতে ‘চাইম’ ছেড়ে টুলু গঠন করেন ‘আর্ক’ ব্যান্ডদল। পরবর্তীতে ‘আর্ক’ শ্রোতাদের কাছে অন্যতম একটি উম্মাদনার নাম হয়, অন্যতম একটি প্রিয় ব্যান্ড হয় যার পেছনে এই আশিকুজ্জামান টুলুর অবদান অনস্বীকার্য। ব্যান্ড অ্যালবামের বাহিরে টুলু ছিলেন সবসময় সক্রিয়। টুলু ৯০ দশকে শুরুতে ব্যান্ড অ্যালবামের বাহিরে ব্যান্ড শিল্পীদের নিয়ে প্রকাশিত ‘ব্যান্ড মিক্সড’ অ্যালবাম এর ধারণা প্রবর্তন করেন যা সে সময়ে অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে দারুণ সাড়া ফেলে।

‘স্টারস’ অ্যালবাম দিয়ে অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে চালু হয় ‘ব্যান্ড মিক্সড’ অ্যালবাম নামের নতুন একটি ধারা। একই অ্যালবামে শ্রোতাদের প্রিয় ব্যান্ডগুলোর প্রিয় কণ্ঠদের গান যা পেয়ে শ্রোতারা হয় বিস্মিত ও আনন্দিত। এরপর অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে ‘ব্যান্ড মিক্সড’ ধারাটা কি পরিমাণ অবদান রাখে তা আলাদা এক ইতিহাস আর যে ইতিহাসের জন্ম দেন এই আশিকুজ্জামান টুলু।

সেই সময়ের শ্রোতাদের চাহিদা ও রুচির কথা বুঝে টুলু প্রকাশ করেন ইউরোপ আমেরিকার জনপ্রিয় ব্যান্ড দলগুলোর বিখ্যাত সব ইংরেজি গানের বাংলা সংস্করন। ‘কপিয়ার’ নামের সেই অ্যালবামটিও শ্রোতাদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় হয়। এই ‘কপিয়ার’ অ্যালবামের মাধ্যমে জনপ্রিয় কণ্ঠ হাসানের আগমন হয়েছিল। এভাবে সবসময় নিত্য নতুন কিছুর সাথে শ্রোতাদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতেন আশিকুজ্জামান টুলু।

যিনি অসংখ্য দারুণ গানের স্রষ্টা। অনেক শিল্পী তার সুরের গান গেয়ে পরিচিতি পেয়েছেন কিন্তু টুলু রয়ে গেছেন চিরদিন প্রচারের বাহিরে। কিন্তু বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীত ও শ্রোতা ভক্তরা কোনদিন টুলুর অবদান ভুলে যেতে পারবে না, কারণ টুলু তার অসাধারন কাজগুলোর মাঝে বেঁচে আছেন ও বেঁচে থাকবেন চিরদিন।

নিউজজি/রুআ

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন