শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ , ২৫ জিলকদ ১৪৪৬

বিনোদন

তালাত মাহমুদ: সঙ্গীতপ্রেমীদের হৃদয় দখল করে আছেন যুগের পর যুগ

নিউজজি ডেস্ক  মে ৯, ২০২৫, ১৪:৩৮:০২

57
  • সংগৃহীত

‘আধো রাতে যদি ঘুম ভেঙ্গে যায় মনে পড়ে মোরে প্রিয় ও’, ‘তোমারে লেগেছে এত যে ভালো চাঁদ বুঝি তা জানে’সহ তালাত মাহমুদের অনেক গান বাংলাদেশের সঙ্গীতপ্রেমীদের হৃদয় দখল করে আছে যুগের পর যুগ।

১৯২৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের লখনউ’র এক সম্ভ্রান্ত রক্ষনশীল মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। শিল্পী তালাত মাহমুদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি একজন গজল গায়ক। গজল মানে প্রেমের গভীর অভিব্যক্তি, হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া দরদী সুর, কোমল মায়াবী কণ্ঠস্বর- এসবেরই যেন এক অপূর্ব সমন্বয় শিল্পী তালাত মাহমুদ। এ কারণেই তিনি অর্জন করেছেন ‘দ্য কিং অফ গজল’ বা ‘গজল সম্রাট’ খেতাব; যাকে হিন্দিতে বলা হয়, ‘শাহেনশাহ-ই-গজল’।

১৯৬০ সালে কিছুদিনের জন্য ঢাকাতে বসবাস করেন এই গজল সম্রাট। এ সময়েই তিনি এহতেশাম পরিচালিত ‘রাজধানীর বুকে’ চলচ্চিত্রের জন্য ‘তোমারে লেগেছে এত যে ভালো চাঁদ বুঝি তা জানে’ গানটিতে কণ্ঠ দেন। তার গাওয়া বাংলা গানের সংখ্যা সর্বমোট ৪৯টি। তিনি বিশ্বের প্রায় ১২টি ভাষায় গান গেয়েছেন, তবে তিনি প্রধানত উর্দু ও হিন্দি ভাষার শিল্পী ছিলেন।

তালাত মাহমুদের জন্ম উত্তর প্রদেশের লাখনউ জেলায়। ১৯২৮ সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতে এই মহান গজল তারকার আবির্ভাব ঘটে। পিতা মনজুর মাহমুদ ছিলেন একটি বৈদ্যুতিক বাদ্যযন্ত্র দোকানের মালিক। ফলে ছোটবেলা থেকেই তালাতের সুযোগ হয়েছিল বাদ্যযন্ত্রের সাথে পরিচিত হওয়ার। পাশাপাশি বাবা মনজুর মাহমুদ নিজেও ছিলেন একজন গায়ক।

তালাত পড়াশোনা করেছেন উত্তর প্রদেশের লাখনউ মরিস কলেজে। সেখানেই তিনি ক্ল্যাসিক্যাল সঙ্গীতের উপর পাঠ নেন পণ্ডিত এসসিআর ভাটের কাছে। পরিবার থেকে তালাতকে বলা হলো অভিনয় অথবা গানের যেকোনো একটিকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করে বাড়িতে থেকে যাওয়ার জন্য। তিনি দ্বিতীয়টিকে নিজের জন্য পছন্দ করলেন। যদিও ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতের প্রতি তার অগাধ টান ছিল, তাছাড়া তিনি পড়াশোনাও করেছিলেন সঙ্গীতের উপরে।

কিংবদন্তি এ ‘গজল সম্রাট’ ভারতের একাধিক রাষ্ট্রীয় পদকে লাভ করেছেন। ১৯৯২ সালে ভারত সরকার তাকে রাষ্ট্রীয় ‘পদ্মবিভূষণ’ খেতাবে ভূষিত করেন। এছাড়াও তিনি মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড, লতা লতা মুঙ্গেশকর পুরস্কার, আলামি উর্দু কনফারেন্স অ্যাওয়ার্ড, বোম্বে ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ড, গালিব অ্যাওয়ার্ড, নওশাদ আলি অ্যাওয়ার্ড, ফিল্ম জার্নালিস্ট অ্যাওয়ার্ড, বেগম আখতার অ্যাওয়ার্ড, লায়ন্স ক্লাব অ্যাওয়ার্ডসহ আরও অনেক পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৮ সালের ৯ মে ৭৪ বছর বয়সে ভারতের মুম্বাইয়ে এই শিল্পী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

নিউজজি/পিএম

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন