বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ , ২১ জিলহজ ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষকদের অনাস্থার মুখে কুয়েটের অন্তর্বতীকালীন উপাচার্যের পদত্যাগ

খুলনা প্রতিনিধি ২২ মে , ২০২৫, ১৭:৫০:২৮

171
  • ছবি : সংগৃহীত

খুলনা: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বতীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী পদত্যাগ করেছেন। মাত্র ১৮ দিন আগে দায়িত্ব গ্রহণ করেও শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সমিতির চাপে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার মো. আনিসুর রহমান ভূঁইয়া। তার মতে, চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি প্রতিষ্ঠায় নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হবে।

কুয়েট শিক্ষক সমিতি গত কিছুদিন ধরে অধ্যাপক হযরত আলীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে আসছিল। তারা দাবি করেছিল, উপাচার্যের দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু প্রশাসন নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের নানা আন্দোলন ও সমস্যা মোকাবেলায় তার ভূমিকা সন্তোষজনক নয় বলে শিক্ষকমণ্ডলীর মত ছিল।

আজ সকালেও কুয়েটের দুর্বার বাংলা পাদদেশে শিক্ষকরা মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর গোলাম কাদের। তিনি বলেন, অধ্যাপক হযরত আলীর পদত্যাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নতুন সুযোগ। আমরা আশা করি দ্রুত নতুন ও যোগ্য একজন উপাচার্য নিয়োগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা দূর হবে।

শিক্ষকদের মানববন্ধনে ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। তারা তাদের দাবিতে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী প্রশাসনিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।

শিক্ষার্থীরা জানায়, গত কয়েক মাস ধরে চলমান অস্থিরতায় শিক্ষার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা জরুরি।

এদিকে, চলতি মাসের ২৫ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল। সেই সময় থেকেই কুয়েটের প্রশাসনিক সংকট শুরু হয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কুয়েটের অস্থিরতার পেছনে রাজনৈতিক চাপ ও শিক্ষার্থী-শিক্ষক সংঘর্ষের বিষয়টি গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তারা দ্রুত শান্তিপূর্ণ ও কার্যকর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা জানিয়েছেন।

বর্তমানে কুয়েটের শিক্ষাব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে একজোট হয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ফিরিয়ে আনাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।

 

নিউজজি/এসএম

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন