শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ , ২৫ জিলকদ ১৪৪৬

শিক্ষা

৩৯৫ পদের অর্গানোগ্রাম চায় ফিশারিজ শিক্ষার্থীরা

গোবিপ্রবি প্রতিনিধি ২৯ এপ্রিল , ২০২৫, ১৬:০০:২৮

6K
  • ছবি : নিউজজি

গোবিপ্রবি: দেশের মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন, গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম আরো গতিশীল ও আধুনিক করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর ৩৯৫টি নতুন পদ সৃষ্টি ও অর্গানোগ্রাম সংশোধনের প্রস্তাবনা উত্থাপন করলেও দীর্ঘদিনের দাবির বাস্তবায়ন হয়নি। যার কারনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ, পেশাজীবী সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা নিয়মিত দাবি জানিয়ে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে জানা যায়, ২০১৫ সালের এপ্রিলে উপ-সচিব সফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত প্রস্তাবনায় ৩৯৫টি নতুন পদসহ সর্বমোট ৬৩৭টি পদ সৃজিত হয়। কিন্তু দীর্ঘ ১০ বছরে প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় ৩৯৫ পদের অর্গানোগ্রামের দাবি জানিয়েছে ফিশারিজ শিক্ষার্থীরা।

এই প্রস্তাবনায় বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডারে ৩৯৫টি সৃজিত নতুন পদসহ সর্বমোট ৬৩৭টি পদ স্থায়ীভাবে এবং নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ২৮৯টি পদ অস্থায়ীভাবে সংরক্ষণের ভিত্তিতে সৃজনে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করার কথা বলা হয়। এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ অনুবিভাগের সম্মতি গ্রহণ করার এবং পদগুলোর বেতন স্কেল অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ কর্তৃক নির্ধারণ করার কথা বলা হয়। একই সাথে যাবতীয় ব্যয়ভার মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব বাজেটের সংশ্লিষ্ট খাত হতে মিটানো জন্য বলা হয়।

এছাড়ও শর্তাদি হিসেবে বিসিএস (মৎস্য) কম্পোজিশন ও ক্যাডার রুলসে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা, যে সকল পদ নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত নেই, সে সকল পদ নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সৃজিত পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে ৩ বছরে নিয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ করতে বলা হয়।

এ বিষয়ে কৃষিবিদ জাহিদ হাসান বলেন, বাংলাদেশের ফিশারিজ সেক্টর এগিয়ে নিতে ২০১৫ সালে ফিশারিজ গ্রাজুয়েটদের জন্য ৩৯৫টি পদ সৃজন করা হয়েছিলো অথচ গত ১০ বছরে আমরা এর বাস্তবায়ন দেখছি না। এর ফলে একদিকে যেমন ফিশারিজ সেক্টরের সার্বিক উন্নয়ন হচ্ছে না তেমনি ফিশারিজ গ্রাজুয়েটরা নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী এই সেক্টরে অবদান রাখতে পারছে না। আমরা খুব দ্রুত এই ৩৯৫ পদের অর্গানোগ্রাম চাই। আমাদের দাবি নতুন পদ তৈরি করা নয় বরং ২০১৫ সালে সৃজনকৃত পদের অর্গানোগ্রাম চাই।

যবিপ্রবির ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ সাদী বলেন, মাৎস্য বিজ্ঞান স্নাতক গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাছের রোগবালাই, মাছের জিনতত্ব ও প্রজনন, মৎস্য চাষ, মৎস্য প্রযুক্তি, সামুদ্রিক মাছের বংশবৃদ্ধি ও মাছের স্টক এসেসমেন্ট, ব্রডস্টক ও হ্যাচারী ম্যানেজমেন্ট, মৎস্য খাদ্য প্রস্তুত ও মাছের পুষ্টিগুণ, মৎস্য প্রযুক্তি সম্প্রসারণ বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে তত্ত্বীয় ও ফিল্ড ভিজিটের মাধ্যমে জ্ঞান আহরণ করে থাকেন। সম্প্রতি বিপিএসসি প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে মৎস্য অধিদপ্তরের পদ সমূহের কার্যক্রমের সাথে মৎস্য গ্রাজুয়েটদের অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা সামঞ্জস্যপূর্ণ। মৎস্য স্নাতকদের এ সকল কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে পারলে মৎস্য সেক্টরে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন সম্ভব। তাছাড়া জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি-২০৩০ এর ১৪ নম্বর সূচকে সমুদ্র সম্পদকে টেকসইভাবে ব্যবহার করার কথা উল্লেখ আছে। যার ৩৫% মৎস্য সম্পদ, এই সম্পদের যথোপযুক্ত ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তরে নতুন পদ সৃজনের মাধ্যমে ফিশারিজ স্নাতকদের অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টি করার অনুরোধ করছি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরকে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান নোমান বলেন, নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশে মৎস্য সেক্টরে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে আমরা বিশ্বে ৩য়, ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে ১ম, তেলাপিয়া উৎপাদনে ৪র্থ। এই অবদানের পিছনে রয়েছে ফিশারিজ গ্রাজুয়েটদের বিশাল অবদান। তারই ধারাবাহিকতায় এই সেক্টরকে এগিয়ে নিতে প্রস্তাবিত ৩৯৫টি পদের অর্গানোগ্রামের বিকল্প নেই। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তরে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি রাখে।

 

নিউজজি/এসএম

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন