মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ , ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিক্ষা

কুয়েট শিক্ষার্থীদের ১ দফা দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ রাবি শিক্ষার্থীদের

রাবি প্রতিনিধি ১৫ এপ্রিল , ২০২৫, ১৮:৫৫:০৩

101
  • কুয়েট শিক্ষার্থীদের ১ দফা দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ রাবি শিক্ষার্থীদের

রাবি: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষার্থীরা। আজ বেলা ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এই ঘোষণা দেন তারা।

বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা কুয়েটে ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশকে ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যা দেন। এসময় তারা কুয়েট শিক্ষার্থীদের পক্ষে নানা স্লোগান প্রদান করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেহেদী সজীবের সঞ্চালনায় এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।

এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেশকাত মিশু বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা একটা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নের জন্য রাজপথে দাড়িয়েছিল। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের সকল জায়গা থেকে ফ্যাসিজমকে উৎখাত করা। কিন্তু নতুন এই বাংলাদেশে ছাত্রদের রক্তের উপর যারা প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়েছেন, তারাই তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং পক্ষপাতের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলা করছে। সাধারণ শিক্ষার্থী ৩৭ জনকে যেভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে সেটি খুবই দুঃখজনক।

এসময় তিনি আরও বলেন, কুয়েটের যেই ভিসি তিনি রাজনৈতিক সমতা বিধান করার কথা সেটিতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। একটা বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর যেই যোগ্যতা তিনি সেটি হারিয়েছেন। তাই আমরা আজকে বলতে চাই, আপনি নিজে পদত্যাগ করবেন নয়তো রাষ্টপতির নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে কুয়েট ভিসিকে অপসারণ করতে হবে। সবশেষে দুই মাস আগের যেই ঘটনা সেটির পরিপূর্ণ একটি তদন্ত করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আকিল বিন তালেব বলেন, কুয়েট ক্যাম্পাস বহিরাগতরা ঢুকে শিক্ষার্থীদের উপর অমানবিক হামলায় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি বহিরাগতদের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছেন। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের পাশে না দাঁড়িয়ে হল বন্ধ করে তাদের বেকায়দায় ফেলেছে। হল বন্ধের সংস্কৃতি আমরা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দেখে এসেছি। আমরা এই বাংলার জমিনে আর কোনো হল বন্ধ হওয়ার সংস্কৃতি দেখতে চাইনা। আমরা চাই অতি দ্রুত কুয়েরটের এই উপাচার্য পদত্যাগ করুক নয়তো তাকে বহিষ্কারের জন্য প্রয়োজন হলে আমরা জোড়ালো আন্দোলন করবো।

প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে ১৪ এপ্রিল সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে আগামী ২ মে থেকে সব আবাসিক হল শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া ও ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। এই ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

নিউজজি/নাসি 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন