শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ , ১৮ জিলকদ ১৪৪৬

শিক্ষা

কুবিতেও 'রাজাকার রাজাকার' স্লোগানে মিছিল শিক্ষার্থীদের

কুবি প্রতিনিধি ১৫ জুলাই , ২০২৪, ১১:০৩:৪৭

157
  • ছবি : নিউজজি

কুবি: চীন সফর নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের বিপরীতে দেয়া বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যকে ঘিরে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো 'রাজাকার রাজাকার' স্লোগানে মিছিল হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়েও।

রোববার (১৪ জুলাই) রাত ১১টায় ছেলেদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল থেকে 'রাজাকার রাজাকার' স্লোগানে মিছিল দিতে দিতে শিক্ষার্থীরা মূল ফটকে আসে। এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুবি শাখার নেতৃত্বে আরেকটি মিছিল বের হয়।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের ২টি হলেও আলাদা আলাদা সময়ে একই স্লোগান দেয়া হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা থালা-বাটি ব্যবহার করেন।

হল ও মিছিলে শিক্ষার্থীরা 'তুই কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার, একাত্তরের রাজাকার, গর্জে উঠ আরেকবার, তুই বেটা রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়, চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার, শেখ হাসিনার বাংলায়, রাজাকারের ভয় নাই, তোমার আমার পরিচয়, রাজাকার রাজাকার, কে বলেছে কে বলেছে, সরকার সরকার' বলে স্লোগান দিতে থাকেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ফরহাদ কাউসার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যারা কোটা আন্দোলন করছেন মুক্তিযোদ্ধা বাদে সবাই রাজাকার। আমাদের নতুন পরিচয় হয়েছে সেই খুশিতে আজকে বের হয়েছি। আমরা রাজাকার সেটা সাদরে গ্রহণ করলাম।

তাদের এই 'রাজাকার রাজাকার' স্লোগানের কারণ আসলে কী এই বিষয় জিজ্ঞেস করা হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুবি শাখার সমন্বয়কদের অন্যতম ইমরান হোসেন বলেন, সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা যারা আন্দোলন করছেন তাদের জন্য অবমাননাকর৷ সে জন্য আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশ মোতাবেক এই বিক্ষোভ মিছিল করছি।

তিনি আরো বলেন, যারা কোটা আন্দোলন করছে তারা নাকি রাজাকার তাহলে দেশের মোট জনসংখ্যার ২ লাখ মুক্তিযোদ্ধা বাদে বাকি সবাই রাজাকার? আপনি কী ২ লাখ মানুষ নিয়ে দেশ চালাবেন বাকিদের বাদ দিবেন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি যাদের রাজাকার বলেছেন তারা আসলে তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য মাঠে নেমেছে তাদেরকে রাজাকার বলতে পারেন না।

উল্লেখ্য, রোববার বিকেলে চীন সফর নিয়ে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এতো ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? তা তো আমরা দিতে পারি না।

তিনি আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতি কোটা পাবে না তাহলে কী রাজাকারের নাতি-পুতিরা কোটা পাবে? সেটা আমার প্রশ্ন। দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন। মুক্তিযোদ্ধারা খেয়ে না খেয়ে কাদামাটি মাখিয়ে তারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল বলেই আজ দেশ স্বাধীন। আজ সবাই বড় বড় পদে আসীন। নইলে তো ওই পাকিস্তানিদের বুটের লাথি খেয়ে চলতে হতো।

 

নিউজজি/এসএম

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন