শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ৯ চৈত্র ১৪২৯ , ২ রমজান ১৪৪৪

অর্থ ও বাণিজ্য
  >
অর্থনীতি

ই-কমার্সের অর্থ ফেরতে কিউকম ছাড়া আর কারো হদিস নেই

নিউজজি ডেস্ক ২৫ জানুয়ারি , ২০২৩, ২৩:১০:৫৩

89
  • ই-কমার্সের অর্থ ফেরতে কিউকম ছাড়া আর কারো হদিস নেই

ঢাকা: ২০২১ সালে ধসের পর এখনও স্থিরতা ফেরেনি দেশের ইকমার্স খাতে। গেলো ১৫ মাসে আলোচিত ই-কমার্স গুলোর মধ্যে কেবল কিউকম ছাড়া ইভ্যালি, ইঅরেঞ্জ, সিরাজগঞ্জশপসহ কেউই গ্রাহকদের পাওনা ফেরত দেয়নি ৷ আর তাতেই বেড়েছে গ্রাহকদের উৎকন্ঠা।

একক ইকমার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে কিউকম গ্রাহকদের ফেরত দিয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা, আলেশা মার্ট ফেরত দিয়েছে ৪০ কোটি, দালাল প্লাস ১৫ কোটি, শ্রেষ্ঠ.কম ১ কোটি ৫০ লাখ, বুমবুম ৮০ লাখ, আনন্দের বাজার ৩৮ লাখ, ধামাকা ৮৯ লাখ, আলিফ ওয়ার্ল্ড ৩১ লাখ, থলে.কম ৪৩ লাখ, বাংলাদেশ ডিল ৫২ লাখ, শপেটিক ১০ লাখ, নাইন্টি নাইন গ্লোবাল ২২ লাখ ও আদিয়ান মার্ট ফেরত দিয়েছে ১৪ লাখ টাকা।

ইকমার্স গ্রাহকদের পাওনা প্রসঙ্গে কিউকমের প্রধান নির্বাহী রিপন মিয়া জানান, যাদের টাকা এখনও পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকা আছে, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে তাদের তালিকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

রিপন মিয়ার আরও দাবি করে বলেন, পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান ফস্টারে গ্রাহকদের অর্থ ছাড়াও তার নিজেরও অর্থ আটকে আছে। সেখান থেকে ২০২১ সালের (১৫-১৮) জুন ও ব্যাংকে যারা পেমেন্ট করেছিলো তাদের রিফান্ড তালিকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এছাড়া, গত দেড় বছরে আলোচিত ৩৯ ইকমার্সের মধ্যে ইভ্যালি, ইঅরেঞ্জ, সিরাজগঞ্জশপসহ অন্তত ২৪টি প্রতিষ্ঠানের কেউই গ্রাহকদের অর্থ বা পন্য কোনোটিই ফেরত দেয়নি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ই-কমার্স সেলের তথ্য বলছে, গ্রাহকের সবচেয়ে বেশি অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে তাদের কেউ এখনো অর্থ ফেরত প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনি। এই তালিকায় রয়েছে ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ,সিরাজগঞ্জ শপ, নিরাপদ.কম, আমার বাজার, আস্থার প্রতিক, আজকের ডিলসহ অন্তত আরো ১ ডজন প্রতিষ্ঠান। এছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্রাহকের কত টাকা পাওনা আছে তার সঠিক তথ্যও জানা যায়নি।

কেন্দ্রীয় ই-কমার্স সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান জানান, বড় প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে ইভ্যালি ২৫ কোটি ও ইঅরেঞ্জের ৩৪ কোটি টাকা পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকা আছে। আইনি জটিলতা আর ইকমার্স প্রতিষ্ঠান গুলোর স্বদিচ্ছার অভাবেই রিফান্ড কার্যক্রম শুরু করা যায়নি বলে জানান তিনি।

তবে শিগগিরিই ইভ্যালিসহ যাদের টাকা গেটওয়েতে আছে, তাদের অর্থ ছাড়ে নির্দেশনা দেয়া হবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় ইকমার্স সেলের প্রধান। এছাড়া গেটওয়ের বাইরে বিভিন্ন ইকমার্সে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলছে কেন্দ্রীয় ই-কমার্স সেল।

এদিকে ভারতে আটক থাকা ইঅরেঞ্জের সোহেল রানা জামিনে বেরিয়ে চলতি মাসে আবারো পালিয়ে গেছে। দেশের বাইরে পলাতক ধামাকা, আনন্দের বাজারের মালিকও। এছাড়া আলেশামার্ট দালাল প্লাস সহ যে ১৩টি প্রতিষ্ঠান কিছু অর্থ ফেরত দিলেও তাদের বেশিরভাগই এখন আত্মগোপনে।

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন