রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩, ১৮ চৈত্র ১৪২৯ , ১১ রমজান ১৪৪৪

অর্থ ও বাণিজ্য
  >
অ্যানালাইসিস

ডিএসইএক্সের সাপোর্ট লেবেল কতো, আরো কতোদূর নামবে

শাহীনুর ইসলাম ২৯ জুলাই , ২০২২, ১৭:৪৯:৫৫

306
  • লংকা-বাংলা থেকে নেয়া শুক্রবারের গ্রাফ

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স। যদিও আরো তিনটি সূচকের মধ্যে দুটি দৃশ্যমান এবং একটি অদৃশ্য রয়েছে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্সকে গণ্য করা হয়। গত কয়েক দিনে মারাত্বকভাবে কমেছে ডিএসইর সব সূচক।

যে কারণে বৃহস্পতিবার থেকে পুঁজিবাজারে শেয়ারপ্রতি দর বৃদ্ধি-কম নিয়ন্ত্রণে সার্কিট ব্রেকার চালু করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আগামী ৩১ জুলাই (রোববার) থেকে মৃতপ্রায় পুঁজিবাজারকে জাগিয়ে তুলতে এই ‘সীমাবন্ধনী’ বা সর্কিট ব্রেকার কাজ করবে।

তবে অনেকের প্রশ্ন হলো- ডিএসইএক্স আরো পড়বে? নামতে থাকলে আরো কতোদূর নামতে পারে? কোন স্তরে গিয়ে সাপোর্ট লেভেল পাবে। যেখান থেকে আবারো উপরে ওঠার বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে কি?

লংকা-বাংলার গবেষণাধর্মী বিভিন্ন গ্রাফ পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক পরিবর্তন হয়ে ২০২০ সালের ৩১ মার্চ ৩৯৯৮ পয়েন্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করে।

লংকা-বাংলা থেকে নেয়া শুক্রবারের গ্রাফ 

দ্রুত বর্ধনশীল সূচক ২০২০ সালের ১৬ আগস্ট ৪৮৬০ পয়েন্ট অর্জন করে। ভয়াবহ করোনাকালে বাজারের লেনদেন স্থবির হলেও সূচকের বিশেষ পতন হয়নি। এরপরে কিছুদিন উত্থার এবং পতনের বাতাস প্রবাহিত হতে থাকে।

তবে সব মিলে এগিয়ে যেতে থাকে বাজার মূলধন ও সূচক। ডিসেম্বরে ৫ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করলেও সাধারণ বিনিয়োগকারীর ব্যানারে অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

উত্থান আর উত্থান। ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি ৫৯১৬ পয়েন্ট দখল করে, বাজার মূলধনও থাকে শীর্ষে।

পরদিন থেকে নমনীয় হতে থাকে বাজার অন্যান্য সব সূচক। ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল ডিএসইর প্রধান সূচক ৫০৮৫ পয়েন্টে স্থির হয়, যা ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বরের সাপোর্ট লেভেলকে ধারণ করে।

গবেষণা চিত্রে দেখা গেছে, ২০২১ সালের ৪ এপ্রিলের পরে ডিএসইএস আর থেমে থাকেনি। তীর বেগে ২০২১ সালের ১১ অক্টোবর সর্বোচ্চ চূড়া স্পর্ষ করে।

সেদিন ডিএসইএক্স ছিল ৭৩৫০ পয়েন্ট। সেদিনও উচ্চাশা ছিল শিগগিরই ৮ হাহার পয়েন্ট সম্পর্ষ করবে এবং প্রতিদিনের লেনদেন ৩ হাজার কোটি টাকা থেকে ৫ হাজার কোটিতে উন্নীত হবে।

প্রথম ডিএসইএক্স চিত্র: লংকা-বাংলা থেকে নেয়া শুক্রবারের গ্রাফ 

মার্কেটিং সূত্র অনুযায়ী, কাস্টমার সেটিসফেশন একটি দূরহ কাজ। যা কখনোই সম্ভব নয়। কারণ, পণ্যের মান বা সেবা দিয়ে গ্রাহককে খুশি করা গেলেও সে হিসেবে টাকা প্রদানে গ্রাহক নারাজ। সুবিধা মতো যেকোন দিকে অবস্থান নেয় গ্রাহক।

তেমনি ডিএসইএক্স যতো দূরে উঠুক বা নামুক বিনিয়োগকারী অখুশি।

যদিও বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে সে সময়ে ব্লুমবার্গ বিশ্বের সেরা পুঁজিবাজার বলে অভিহিত করে। এখন পর্যন্ত সেরা রয়েছে। তবে মনে রাখা ভালো, পুঁজিবাজার অত্যান্ত সংবেদনশীল মার্কেট। দেশের যে কোর খাতের ঘটনার সামান্য অনুরণন হলেই তার প্রভাব পড়বে।

যেমন- হরতাল। বাংলাদেশের কোন দল ঘোষণা দিলেই পুঁজিবাজারে অগ্নিকাণ্ড হয়ে যেত।

বিশ্লেষণের শেষের অংশ, ডিএসইএক্স ২০২১ সালের ২৭ জুনের লেভেলে ৫৯৮০ পয়েন্টে বর্তমানে অবস্থান নিয়েছে। যা খুবই সম্ভাবনার। তবে কিছু মানুষ ৬ হাজার পয়েন্টকে আর্শীবাদ হিসেবে মনে করেন। তাদের কাছে ৬ হাজারের নিচে নেমে আসা মানে ভয়াবহ কিছুর আভাস।

লংকা-বাংলা থেকে নেয়া শুক্রবারের গ্রাফ 

এখান থেকেই উত্তোরণ ঘটার বিরাট সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে এই লেভেল ভেঙ্গে ডিএসইএক্স নিচে নামার আশঙ্কা খুবই কম। এখানেই শেয়ার কেনার শ্রেষ্ট সময়।

গবেষণা বলেছে, ফান্ডামেটাল কোম্পানির শেয়ার ধারণে বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।  

তবে কোন কারণে বিফল হলে পরবর্তী সাপোর্ট লেভেল ৫৭৮২ পয়েন্ট। সার্কিট ব্রেকার চালু থাকায় তার নিচে এই মুহূর্তে ডিএসইএক্স সাপোর্ট লেভেল ভেঙ্গে নামা অসম্ভব। কাজেই লভ্যাংশ তুলে নিতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা বেশি।

নিউজজি/শানু

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন