রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১ , ১০ শাবান ১৪৪৬

শিল্প-সংস্কৃতি

বাঙালি সুরশিল্পী সঙ্গীত পরিচালক রাইচাঁদ বড়াল

নিউজজি ডেস্ক ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:১৭:৪৮

171
  • সংগৃহীত

ঢাকা: একজন বাঙালি সুরশিল্পী সঙ্গীত পরিচালক ও সঙ্গতিয়া হিসাবে খ্যাতিমান রাইচাঁদ বড়াল। তিনি ১৯৪০ ও ১৯৫০ এর দশকে অসংখ্য বাংলা ও হিন্দী চলচ্চিত্রের গানে সুরারোপ করেন। ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান দাদাসাহেব ফালকে অর্জন করেন।

১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৯শে অক্টোবর, কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা লালচাঁদ ছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী। পিতার উৎসাহে অল্প বয়স থেকে তিনি ওস্তাদ মুস্তাক হুসেন খান, সরোদ বাদক ওস্তাদ হাফিজ খান প্রমুখের কাছে সঙ্গীতচর্চা করার সুযোগ লাভ করেন। কলকাতার ১/১ প্রেমচাঁদ বড়াল স্ট্রিটের বাড়িতে তাঁর এবং অপর দুই জন সহযোগী (বিষণচাঁদ ও কিষণচাঁদ) মিলে একটি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আখড়া প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই আসরে তিনি ওস্তাদ এনায়েত খাঁ, ওস্তাদ হাফিজ খাঁ, ওস্তাদ আলী খাঁ, জদদ্ন বাঈ, গহরজান, জ্ঞান গোস্বামী, ভীষ্মদেব প্রমুখের সাথে তবলায় সঙ্গত করতেন।

১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় রেডিও স্টেশন স্থাপিত হলে, তিনি এখানে সঙ্গীত বিভাগের প্রযোজক হন। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে নির্বাক চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। উল্লেখ্য এই সময় তিনি ইন্টারন্যাশনাল  ফিল্ম ক্র্যাফ্ট-এর 'চোরা কাঁটা' এবং 'চাষীর মেয়ে' ছবি প্রদর্শনের সময় যন্ত্রীদের সাহায্যে পার্দার আড়ালে বসে আবহসঙ্গীত উপস্থাপন করতেন।

১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি যুক্ত হন বি এন সরকারের বিখ্যাত কোম্পানী নিউ থিয়েটার্স-এ। ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে  নিউ থিয়েটার্স-এর  দেবকী বসুর পরিচালিত 'চণ্ডীদাস' ছবির সাথে আবহসঙ্গীত যুক্ত করেন।

১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে  নিউ থিয়েটার্স-এর 'ভাগ্যচক্র' ছবি মুক্তি পায়। এই ছবিতে মুকুল বসুর সাহায্যে নতুন পদ্ধতিতে গান ও নাচের রেকর্ড এই ছবিতে যুক্ত করেন। এই সময় তাঁর সহযোগী হিসেবে ছিলেন পঙ্কজকুমার মল্লিক। উল্লেখ্য এই সংযোজনটি ছিল বাংলা সবাক ছবির ক্ষেত্রে প্রথম প্রচেষ্টা।

১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে ওয়ালট ডিজনির অনুপ্রেরণায় তিনি নিউ থিয়েটার্স-এর ব্যানারে কার্টুন ছবি 'পি ব্রাদার্স' প্রযোজনা করেছিলেন।

তিনি বহু গানে সুরারোপ করেছিলেন। সেকালের বিখ্যাত প্রায় সকল শিল্পীই তাঁর সুরে গান করেছেন। এই শিল্পীদের ভিতরে ছিলেন, কৃষ্ণচন্দ্র দে, কাননদেবী, চন্দ্রাবতী দেবী, উমাশশী দেবী, সুপ্রভা সরকার, পাহাড়ি সন্যাল, তালাত মামুদ প্রমুখ।

১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে সঙ্গীত নাটক একাডেমি তাঁকে পুরস্কৃত করে। সেই একই বছর দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কারও পান তিনি। ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

নিউজজি/পি.এম

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন