রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ , ২৪ মুহররম ১৪৪৭

দেশ

কাজিপুরে ব্যপকভাবে ছড়াচ্ছে লাম্পি ভাইরাস, দিশেহারা খামারীরা

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ৬ জুলাই, ২০২৫, ১৬:১০:০৪

48
  • ছবি : নিউজজি

সিরাজগঞ্জ: কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়নে গবাদি পশুর মধ্যে লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে প্রতিদিনই প্রায় সুস্থ সবল গরু আক্রান্ত হচ্ছে এবং চিকিৎসার অভাবে অনেক গরু মারা যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

যমুনার চরে অবস্থিত তেকানী, চরগিরিশ, নাটুয়ারপাড়া, খাসরাজবাড়ি, নিশ্চিন্তপুর ও মনসুরনগর ইউনিয়ন গুলোতে গরুর এই ভাইরাস জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই রোগে আক্রান্ত গরুর শরীরে ফোস্কা, জ্বর, ক্ষত ও দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। অনেক গরু খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে এবং ইতোমধ্যে বেশ কিছু গরু মারা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের পানাগাড়ি গ্রামের কৃষক মাজম ফকির, আকালিয়া, আনোয়ার মিয়া ও আকতার মন্ডলের বাছুরগুলো এই রোগে এরই মধ্যে মারা গেছে। আর আক্রান্ত হয়েছে তেকানি ইউনিয়নের পলাশ শেখের একটি, আব্দুস সালাম ও নায়েব আলীর মোট ৫টি গরু।

কৃষক আকালিয়া বলেন, আমরা চরের মানুষ। এহানে কোন সরকারি ডাক্তার আমরা পাই না। গরুটা মরে যাওয়ায় আমি ক্ষতির মুখে পড়েছি।

তেকানি গ্রামের পলাশ শেখ জানায়, আমরা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করেও তেমন কোনো সহায়তা পাইনি। এখন নিজেদের চেষ্টায় ওষুধ কিনে চিকিৎসা করছি। দেখা যাক কি হয়।

নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের জজিরা মধ্যবাজার এলাকার সোহেল কারী জানান, আমার একটি গরু ৩ দিন যাবৎ খাচ্ছে না। গা ফুলে ফোস্কার মতো উঠেছে। কি করবো বুঝতে পারছি না।

এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. দিদারুল আহসান বলেন, লাম্পি স্কিন ডিজিজ এক ধরনের মশা মাছি বাহিত ভাইরাসজনিত রোগ। এর কোন প্রতিষেধক সরকারিভাবে সাপ্লাই নেই। একটি ভ্যাকসিন বাজারে পাওয়া যায় সেটা কিনে কৃষককে গরুর চিকিৎসা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, যাতে মশা মাছি গরুকে কামড়াতে না পারে সেজন্যে মশারী ব্যবহার করা যেতে পারে। আক্রান্ত গরুকে আলাদা করে রাখতে হবে। আক্রান্ত গরুকে অস্থায়ী ব্যবস্থায় লেবু খাওয়ানো, প্রয়োজনে প্যারাসিটামল দেয়া যেতে পারে।

গরুর চিকিৎসা বিষয়ে তিনি জানান, চরাঞ্চলের দুর্গম এলাকায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছানো কিছুটা কঠিন। তবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে জরুরি সেবা দেয়ার চেষ্টা চলছে।

এদিকে স্থানীয় খামারি ও কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। একমাত্র আয়ের উৎস গরু মারা যাওয়ায় অনেকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

 

নিউজজি/এসএম

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন