গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার

জামালপুর: জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।  আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধায় বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে দুপুরে উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়নের ফজিলতপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

মৃত গৃহবধূর নাম মোনেজা বেগম (৩৫)। তিনি ওই গ্রামের ইসরাফিল আলমের স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী। তার পিতার বাড়ি একই ইউনিয়নের নতুনবাজার এলাকায়। পিতার নাম ওয়াজেদ আলী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন সকালে হঠাৎ করেই খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, মোনেজা বেগম নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এমন সংবাদে আশপাশের মানুষ ভিড় জমায় তার বাড়িতে। পরে পরিবারের সদস্যরা ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা মরদেহ নিচে নামান বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও পুরো ঘটনাটি ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা ও নানা প্রশ্ন। অনেকেই সন্দেহ করছেন এটি নিছক আত্মহত্যা নয়, এর পেছনে থাকতে পারে কোনো পারিবারিক কলহ কিংবা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপুর ২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। মোনেজা বেগমের অকাল মৃত্যুতে তার দুই সন্তান ও স্বজনরা শোকে ভেঙে পড়েছেন। পুরো গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

এদিকে, স্বামীর পরিবারের দাবি, এটি একটি স্বাভাবিক মৃত্যু। তবে স্থানীয়দের একটি অংশ তাদের বক্তব্যে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ফলে গৃহবধূর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, “প্রাথমিক তদন্তে গলায় ফাঁস দেয়ার আলামত পাওয়া গেছে। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনো কারণে মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। আমরা ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি এবং আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”

নিউজজি/নাসি