মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ , ১ জিলকদ ১৪৪৬

দেশ

জয়পুরহাটে হিমাগারে আলু তোলার জন্য বাড়তি অর্থ নেয়ার অভিযোগ

জয়পুরহাট প্রতিনিধি ১৮ মার্চ, ২০২৫, ১৩:২৬:১০

252
  • ছবি : নিউজজি

জয়পুরহাট: হিমাগারগুলোতে আলু সংরক্ষন করতে এসে বিরম্বনার শিকার হচ্ছেন দরিদ্র আলুচাষীরা। ধনী কৃষক ও ব্যবাসায়ীরা নেপথ্য সুযোগ পাচ্ছেন বলে তাদের নাই কোনও অভিযোগ। তবে পদে পদে ধকল পোহাতে হচ্ছে আলু সংরক্ষণ করতে আসা নিরীহ চাষীদের। আলু হিমাগারে তাদের তোলার জন্য জোর করে নেয়া হচ্ছে বস্তা প্রতি প্রতি ৭০ থেকে ১৫০ টাকা, না হয় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে নিজেদেরই ভারী আলুর বস্তা তুলতে হচ্ছে হিমাগারে।

সরেজমিনে জানা গেছে, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার চানপাড়া এলাকার সাথী নামের একটি হিমাগারের বন্ধ মূল ফটকের সামনের রাস্তায় দীর্ঘ সাড়িতে ভ্যান, ভটভটি, ট্রাক্টর, ব্যাটারী চালিত ইজি বাইকসহ বিভিন্ন যানবাহন ভরে আলু নিয়ে এসে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন শতশত আলুচাষী। তাদের অভিযোগ ২/৩ মাস আগেই আলু বুকিং এর রিসিট কাটলেও নেয়া হচ্ছে না তাদের আলু। আর যদিও নেয়া হচ্ছে, জোর করে আদায় করা হচ্ছে বস্তা প্রতি ৭০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত, আর না হয় নিজেদের আলু নিজেদেরই পিঠে করে তুলতে হবে হিমাগারের উঁচু তলায়, কিন্তু বিধিবদ্ধ নিয়ম হলো কেবল হিমাগারের সেড পর্যন্ত বস্তা ভর্তি আলু পৌছানোর দায়িত্ব আলু সংরক্ষনকারীদের। এ অবস্থায় বিরম্বনা আর হয়রানীর নানা অভিযোগ ভূক্তভোগীদের।

সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর বাজার এলাকার ইমরান জানান, আমি এই কোল্ড ষ্টোরে ১৬ বস্তা আলু রাখার জন্য ২ মাস আগেই বুকিং দিয়েছি। কিন্তু ২ দিন অপেক্ষা করার পর জানলাম হিমাগারের লোকেরা আলু নিবে না, কিন্তু বস্তা প্রতি ১০০ টাকা করে দিলে আলু নিবে।

পাঁচবিবি উপজেলার বালিঘাটা গ্রামের মোজাফফর হোসেন, পার্শ্ববর্তী শিমুলতলী গ্রামের হোসেন আলী অপেক্ষমান ভূক্তভোগী আলুচাষীরা জানান, তাদের হিমাগারের বাইরের সেড পর্যন্ত বস্তায় করে আলু পৌঁছাতে হবে, এরপর তাদের নিজস্ব কুলি বা শ্রমিক দিয়ে সেখান থেকে তারা হিমাগারে উঠাবেন। কিন্তু আলু সংরক্ষণ করতে আসা গরীব কৃষকদের উপড় চাপিয়ে দিয়ে বস্তা প্রতি ৭০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন। আর না হলে যার আলু তাকেই হিমাগারে তুলে দিতে হবে। বাধ্য হয়ে শক্তিশালী কৃষকরা তাদের আলু নিজেরাই হিমাগারের ৩/৪ তলায় তুলে দিচ্ছেন, আর যাদের শক্তি নাই, বা বৃদ্ধ তারা টাকাই দিয়েই আলু হিমাগারে তুলতে বাধ্য হচ্ছে। আর যাদের শক্তিও নাই টাকাও নাই তারা বাধ্য হয়ে আলু ফিরে নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ ভূক্তভোগীদের।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সাথী হিমাগারের ব্যবস্থাপক শামসুল হক বলেন, অধিক ফলনের কারনে আলু সংরক্ষণে হিমাগারে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অসুবিধা হচ্ছে। এছাড়া আর কোনো কথা বলতে চাননি তিনি।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পাঁবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা রিয়াজ ও কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর হরমানের সাথে স্থানীয় সংবাদ কর্মীরা বারবার মুঠোফোনে ও হোয়াট্সঅ্যাপে যোগাযোগ করলেও জরুরী মিটিং এর কথা বলে ঘটনস্থলে গ্রাম পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। কমবেশি একই চিত্র জেলার অন্যান্য হিমাগারগুলোতে দেখা গেছে।

নিউজজি/এসএম/নাসি 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন