বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ , ১৮ শাওয়াল ১৪৪৬

দেশ

জামালপুরে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকে বিএনপি নেতার হুমকি

জামালপুর প্রতিনিধি ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১২:৩৪:১৬

73
  • ছবি : নিউজজি

জামালপুর: মাদারগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসককে পরিষদ থেকে বের করে দেয়ার হুমকি ও অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। এতে উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকরা কাজ করার বিষয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম মো. মিজানুর রহমান রতন। সে মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিধুলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারে কার্যালয়ে এসে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান রতন তার দুর্ব্যবহারে জন্য সিধুলী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক শাহাদুল ইসলামের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে উপজেলার সিধুলি ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে বিএনপি নেতা রতন দলবল নিয়ে উপজেলার সিধুলী ইউনিয়ন পরিষদ যান। পরে সেখানে ইউপি প্রশাসককে ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফ কার্যক্রমের তালিকাসহ অন্যান্য সব কাজ তার কথামতো করতে হবে বলে জানান। এতে ইউপি প্রশাসক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদুল ইসলাম সরকারি নিয়মেই তিনি কাজ করবেন বলে জানালে ওই বিএনপি তাকে পরিষদের অফিস থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এবং তার সাথে লোকদের দিয়েও হুমকি দেন।

ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের সাথে এমন ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ও বিএনপির নেতারা ক্ষোভ ও অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও সিধুলী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মো. শাহাদুল ইসলাম জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি পরিষদ কার্যালয়ে বসে বিভিন্ন সেবাগ্রহিতাদের সেবা দিচ্ছিলেন। এ সময় বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান রতন দলবল নিয়ে সেখানে প্রবেশ করে পরিষদের সব কাজ তার কথামাতো করতে হবে, না করলে অফিস থেকে বেরিয়ে যেতে হবে বলে হুমকি দেন। এ সময় তিনি কারো কথামত নয় সরকারি নিয়মেই সব কাজ করবেন বলে জানালে ওই বিএনপি নেতা তাকে অফিস থেকে আবারো বেরিয়ে যেতে বলেন। শাহাদুল ইসলাম তার কাজ ফেলে চেয়ার থেকে উঠবেন না বলে জানালে মিজানুর রহমানের সাথে থাকা লোকজন প্রশাসকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে এবং তারাও প্রশাসককে অফিস থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান রতন জানান, সিধুলী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের সাথে তার একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, তবে সেটার সমাধান হয়ে গেছে।

মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাদির শাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরণের ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছি। আপনারা শুধু এই একটা ঘটনাই শুনেছেন।

উল্লেখ্য, মাদারগঞ্জের ৩ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আত্মগোপনে থাকায় ওইসব ইউনিয়নের প্রশাসক হিসেবে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন।

 

নিউজজি/এসএম

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন