মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ৩১ পৌষ ১৪৩১ , ১৪ রজব ১৪৪৬

দেশ

হত্যা মামলার আসামি আওয়ামীলীগ নেতার ভিডিও করায় সাংবাদিকদের উপর চড়াও

মাদারীপুর প্রতিনিধি ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৯:৫৫:৫৫

74
  • হত্যা মামলার আসামি আওয়ামীলীগ নেতার ভিডিও করায় সাংবাদিকদের উপর চড়াও

মাদারীপুর: বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে মাদারীপুরের তাওহীদ সন্নামাত হত্যা মামলায় সোমবার দুপুরে শহরের বিসিক শিল্প এলাকা থেকে মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দেকে গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। খবর পেয়ে মাদারীপুর সদর থানায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ভিডিও করার সময় সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়ে হামলা করার জন্য তেড়ে আসার চেষ্টা করেন আ.লীগ নেতা কাজল কৃষ্ণ দে। মঙ্গলবার এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

ভিডিওতে দেখা যায় মাদারীপুর সদর থানা থেলে আদালতে নেয়ার জন্য বের করা হলে সাংবাদিকেরা ভিডিও করতে শুরু করে ভিডিও করতে শুরু করলে ভিডিও করতে নিষেধ করে কাজল কৃষ্ণ দে, নিষেধ না শুনলে সাংবাদিদের দিকে মারতে এগিয়ে আসে এ আওয়ামী লীগ নেতা এ সময় তার স্ত্রী চিৎকার করে ভিডিও করতে নিষেধ করে সাংবাদিকে। পরে তাকে পুলিশের জিপে করে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই মাদারীপুর-শরীয়তপুর সড়কের যুব উন্নয়ন অফিসের সামনে ছাত্রলীগ, পুলিশ ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ারভাঙ্গা গ্রামের সালাহউদ্দিন সন্নামাতের ছেলে তাওহীদ সন্নামাত যোগ দেন। এ সময় পুলিশ ও ছাত্রলীগের গুলিতে নিহত হন তাওহীদ সন্নামাত। পরে রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এই ঘটনায় মাদারীপুর জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব কামরুল হাসান বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মোহনা টেলিভিশনের সাংবাদিক আরিফুর রহমান জানান আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তারের খবর শুনে থানায় ছুটে যাই থানার ওসির অনুমতি নিয়ে তার আদালতে নেয়ার ফুটেজ সংগ্রহ করতে যাই কিন্তু এ সময় এই নেতা এবং তার পরিবারের লোকজন মিলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারার জন্য চরাও হয় পুলিশ না থাকলে আমার গায়ে হাত দিত। ভিডিও ফুটেজের মাধ্যম তদন্ত করে আমি এর বিচার চাই।

মাদারীপুর জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব কামরুল হাসান বলেন,শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন এ বিষয় নিয়ে কথা বলতেও মানুষ ভয় পেতেন।এখনও তাদের আচরণ পরিবর্তন হয়নি। একটি ভিডিওতে দেখলাম কাজল কৃষ্ণ দে সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে আসছেন মারা জন্য। বিষয়টি দুঃখজনক। সাংবাদিকরা তো ভিডিও করবেই।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সোমবার দুপুরে শহরের বিসিক শিল্প এলাকা থেকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি তাওহীদ সন্নামাত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তেড়ে আসার বিষয়টি দুঃখজনক।

নিউজজি/নাসি

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন