শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ , ১১ জুমাদাউস সানি ১৪৪৬

দেশ

গণতন্ত্রবিরোধী ষড়যন্ত্র থেমে নেই, সতর্ক থাকতে হবে: তারেক রহমান

নিউজজি প্রতিবেদক ৮ নভেম্বর, ২০২৪, ১৬:৫৩:৪৫

111
  • ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা দেশ-বিদেশ ও প্রশাসনে এখনো সক্রিয়। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না।’

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত শোভাযাত্রা কর্মসূচি শুরুর আগে এ সমাবেশ হয়। এতে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন তারেক রহমান।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কথা উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ছিল শত্রু-মিত্র চেনার দিন। আর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছিল বাংলদেশের শত্রু চিহ্নিত করার দিন। বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে আর কেউ দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন করতে পারবে না।’

তারেক রহমান বলেন, ‘রাজপথে লাখো জনতার এ মিছিল দেশের স্বার্থ রক্ষার মিছিল; নিজের অধিকার রক্ষার মিছিল; নিজের ভোট প্রয়োগের অধিকার রক্ষার মিছিল।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যেন আর কখনো স্বৈরাচার ফিরে আসতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য জনগণের সরাসরি ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জনগণের ভোটের প্রতি মুখাপেক্ষী না করা পর্যন্ত মানুষ গণতন্ত্রের সুফল পাবে না। এছাড়া মানুষের ভোটের অধিকার যদি আমরা নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশেও স্বল্প আয়ের মানুষকে বাজার সিন্ডিকেটের অভিশাপ থেকে মুক্ত করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালালেও তার দোসররা অনেকে এখনো আছে। তারা আবার বাংলাদেশকে আক্রমণ করবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই সজাগ, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে যেকোনো চেষ্টা নস্যাৎ করে দেব।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে। বাংলাদেশকে লুটপাটের রাজত্বে মাফিয়া রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। অনেক মানুষ নিহত হয়েছে, গুম হয়েছে, অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। গণতন্ত্রকামী মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সর্বশেষে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানে নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করেছে। এ অভ্যুত্থানে হাসিনা পালিয়েছেন।’

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং এজেডএম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচিতে ঢাকা ও এর আশপাশের জেলার বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

সমাবেশের পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নয়াপল্টন থেকে শোভাযাত্রা শুরু করেন নেতাকর্মীরা। তারা কাকরাইল মোড়, কাকরাইল মসজিদ, মৎস্য ভবন মোড়, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনের সড়ক দিয়ে শাহবাগ মোড়ে যান। সেখান থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট হয়ে শোভাযাত্রা যায় মানিক মিয়া এভিনিউয়ে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার দিন; দেশকে আধিপত্যবাদের কবল থেকে মুক্ত করার দিন। আপনাদের নিশ্চয় জানা থাকার কথা, ৭ নভেম্বরের আগে ৩ নভেম্বর একটা অভ্যুত্থান হয়েছিল খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে; খালেদ মোশাররফের লক্ষ্য ছিল আবার আধিপত্যবাদকে প্রতিষ্ঠা করা, ওই একদলীয় শাসনে দেশকে নিয়ে যাওয়া।’

নিউজজি/এস দত্ত

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন