সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ , ১৭ রমজান ১৪৪৬

দেশ

অর্থের বিনিময়ে তদন্ত ছাড়াই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি ১০ জুলাই, ২০২৪, ১৯:৫৯:২৬

130
  • অর্থের বিনিময়ে তদন্ত ছাড়াই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ

পঞ্চগড় : পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে অর্থের বিনিময়ে তদন্ত ছাড়াই হারুন অর রশিদ নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্যকে বাসা থেকে কৌশলে থানায় ডেকে নিয়ে গ্রেপ্তারের অভিযোগ উঠেছে।  

বুধবার (১০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় উপজেলার চেংঠী হাজরাডাঙ্গা ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় নিজ বাস ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন হারুন অর রশিদ।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ১ জুলাই আদালতে ২৪৫ বস্তা চালসহ ট্রাক্টর থামিয়ে চালককে মারধর করে ড্রেগার ঠেকয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় আমাকেসহ আরও ৭ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তি। আদালত অভিযোগটি দেবীগঞ্জ থানার ওসিকে মামলা হিসেবে রেকর্ড করার এবং তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন।

সংবাদ সম্মেলনে হারুন বলেন, আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়নি। আমার নামে যে মামলা হয়েছে সেটাও জানতাম না। আমাকে না বলুক কিন্তু নতুন হাট বাজারের পশ্চিমে গ্রামীণ ফোন টাওয়ারের সামনে মূল সড়কে যে ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে সেখানে ন্যুনতম তদন্ত করেনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাসুদ মিয়া। আমাকে গ্রেপ্তারের আগে যদি তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করতেন তাহলে অবশ্যই সেটি আমি জানতে পারতাম। তিনিও সত্যটা জানতে পারতেন। কিন্তু বাজারের ব্যবসায়ীরা পুলিশকে তদন্ত করতে দেখেনি।

তিনি আরও বলেন, ৩ জুলাই আমাকে গ্রেপ্তারের দিন এসআই মাসুদ মিয়া ফোর্স নিয়ে আমার বাসা ঘেরাও করে ওসি সাহেব সালাম জানিয়েছেন এবং পাশেই আছেন দেখা করবেন বলে তাদের সাথে যেতে বলেন। আমি সেই মুহূর্তে আসরের নামাযের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আমাকে নামায পড়ারও সুযোগ দেয়া হয়নি। আমাকে যে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেটাও জানায়নি। বাসা থেকে বের হওয়ার পর ওসি এই মোড়ে আছে সেই মোড়ে আছে বলে আমাকে থানায় নিয়ে আসে। পরে আমি জানতে পারি আমার নামে ট্রাক্টরসহ চাল ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

৪ জুলাই আদালতে সোপর্দ করার পর পুলিশ ছিনতাই হওয়া চাল ও ট্রাক্টর উদ্ধার না করে কেন আমাকে গ্রেপ্তার করল এ জন্য বিজ্ঞ বিচারক পুলিশকে ভর্ৎসনা করেন। সেই সাথে চালককে যে মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে সেই চালক কোথায় চিকিৎসা নিলেন সেটির ব্যাপারেও বিচারক জিজ্ঞাসা করেন কিন্তু পুলিশ কোন জবাব দিতে পারেনি।

হারুন আরও বলেন, দেবীগঞ্জ থানার ওসি সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাসুদ মিয়া বাদীর কাছ থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে এত নাটকীয়তার পর আমাকে গ্রেফতার করেন। আমার মতো একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সমাজ সেবক যদি নিরাপদ না হন তাহলে এই ওসির কাছে সাধারণ মানুষ আরো বিপদগ্রস্ত হবেন। ওসি ও তদন্তকারী কর্মকর্তাকে দ্রুত প্রত্যাহার ও এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করেই গ্রেপ্তার করেছেন।

মামলার সুষ্ঠু তদন্ত না করেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কিনা এমন প্রশ্নে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ মিয়া বলেন, স্বাক্ষীদের সাথে কথা হয়েছে। তদন্তে সত্যতা পেয়েছি আসামী গ্রেপ্তার করেছি। এই বিষয়ে ওসি কথা বলবেন।

নিউজজি/নাসি

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন