সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ , ১৮ শাবান ১৪৪৬

দেশ

মৌখিক অভিযোগের তদন্তে এসে পুলিশের হয়রানি

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ১৮ জুন, ২০২৪, ২০:১৪:১৭

323
  • মৌখিক অভিযোগের তদন্তে এসে পুলিশের হয়রানি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন নারুই (ব্রাহ্মণহাতা) গ্রামে মৌখিক অভিযোগের তদন্ত করতে মো. সাব্বির ও সজিব মিয়ার বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ অর্থ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে নবীনগর থানার ওসি তদন্ত সজল কান্তি দাসসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, নারুই ব্রাহ্মণহাতা গ্রামের মো. অলি মুন্সী মিথ্যা মৌখিক অভিযোগ করেন শিল্পপতি রিপন মুন্সীসহ সাব্বির ও সজিব এর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে সেই মৌখিক অভিযোগের তদন্ত করতে আসেন নবীনগর থানার ওসি তদন্ত সজল কান্তি দাসসহ ৫ পুলিশ সদস্য। এই সময় সাব্বির মিয়ার বাড়িতে গিয়ে বাড়ির গেইট ভেঙে প্রবেশ করে সাব্বিরকে বাড়িতে না পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে অর্থ লুটপাট করেন এবং সজিব মিয়ার বাড়িতে গিয়েও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে।

সাব্বির মিয়ার ভাই মো. শাহিন মিয়া বলেন, আমি সকালে ঘুমিয়ে ছিলাম। এমন সময় ৬ জন পুলিশ বাড়ির গেইট ভেঙে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে আমার ভাইকে খোঁজাখুঁজি করে৷ তাকে না পেয়ে আমার ভাইকে নিয়ে অশ্লিল ভাষায় গালাগালি করেন এবং ঘরে থাকা ৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

সজিবের আম্মা বলেন, সকালে নাস্তা করার সময় ২ জন পুলিশ ঘরে প্রবেশ করে আমার ছেলে সজিবকে খুঁজে। তাকে না পেয়ে আমার ছেলেকে নিয়ে অশ্লিল ভাষায় গালাগালি করে। আমার পরিবার পুলিশের এ কথা বলার পরও তারা আমাকে ও আমার মৃত স্বামীকে নিয়ে অশ্লিল ভাষায় গালাগালি করেন। আমরা কোনো অপরাধ না করার পরও পুলিশ বাড়িতে এসে কেন হয়রানি করলো এর সঠিক বিচার চাই।

দোকানদারের ছেলে বাইজিদ বলেন, আমার বাবা দোকানে ছিল না, ঐ সময় ৬ জন পুলিশ আমাদের দোকানে ঢুকে ৬ প্যাকেট বেন্সন সিগারেট ও ৬টি স্পিড কেন নিলে আমি টাকা চাওয়াতে তারা আমার বাবাকে হাত পা ভাঙার হুমকি প্রধান করে।

গ্রাম পুলিশ একরামুল বলেন, সকালে নবীনগর থানা থেকে ৬ জন পুলিশ এসে আমাকে ফোন করলে আমি সাব্বির মিয়ার বাড়ির সামনে আসি। আমাকে নিয়ে সাব্বির ও সজিব মিয়ার বাড়িতে যায়। তাদের কে না পেয়ে পুলিশ সদস্যরা অশ্লিল ভাষায় গালাগালি করেছে, কেন করেছে তা আমি জানি না।

সাব্বির ও সজিব বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়ছে তা মিথ্যে বানুয়াট। আমরা কেন তাদের কোরবানি দিতে বাঁধা দিব। এই মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আমাদের বাড়িতে এসে সকলকে গালাগালিসহ ও লুটপাট করেছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।

অভিযোগকারী অলি মুন্সী বলেন, আমার ভাগ্নে মোরশেদ আমার সাথে কোরবানি দিতে চাইলে তাকে বাঁধা প্রদান করেন সজিব ও সাব্বির। তাই আমি থানায় মৌখিক অভিযোগ করেছি, তবে লিখিত কোনো অভিযোগ করি নাই। তবে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কোরবানি দিয়েছি।

নবীনগর থানার ওসি তদন্ত সজল কান্তি দাস জানান, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলো আনা হয়ছে সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা বানুয়াট। যারা এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করেছে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

নিউজজি/এসএম

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন