মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ , ১ জুমাদাউস সানি ১৪৪৬

দেশ

ডান্ডাবেড়ি তো ঘৃণ্য অপরাধে পরানো হয় : হাইকোর্ট

নিউজজি প্রতিবেদক ২৯ নভেম্বর, ২০২৩, ১৪:৫৮:৪৬

162
  • ছবি: ফাইল

ঢাকা: ডান্ডাবেড়ি তো ঘৃণ্য অপরাধে পরানো হয় বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এটি নজরে আনেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী।

এর আগে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে যশোর যুবদল নেতা আমিনুরকে হাসপাতালে চিকিৎসার দেয়ার ঘটনায় বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। পরে বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনা হলে আদালত এই মন্তব্য করেন।

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী হাইকোর্টকে বলেন, মাই লর্ড ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়েছে, আমার বিরুদ্ধে ১০০টা কেস থাকুক তাতে আমার সমস্যা নেই। কিন্তু ডান্ডাবেড়ি পরানো হবে এটা কেমন কথা। ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালে আনা হবে, স্বাধীন দেশে এগুলো কেন করা হবে? আপনি একটি স্বপ্রণোদিত আদেশ দেন।

হাইকোর্ট বলেন, এগুলো তো সেটেল হয়ে গেছে। ৫৪ ধারা সেটেল হয়ে গেছে। তারপরও হচ্ছে। এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, আমাদের এটার সমাধান বের করতে হবে। আমরা কি থার্ড ক্লাস সিটিজেন? পরে হাইকোর্ট বলেন, আপনারা রিট আকারে আসেন। আমরা সুয়োমটো আদেশ দেব না।

এর আগে গত ২ নভেম্বর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের আমদাবাদ গ্রাম থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। এরপর গেল ১২ নভেম্বর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা অবস্থায় আমিনুর রহমান মধু হৃদরোগে আক্রান্ত হন। কারাগার থেকে তার দুই পায়ে ডান্ডাবেড়ি হাতকড়া পরিয়ে প্রথমে যশোর-২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ওই রাতেই তাকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

পরদিন ১৩ তারিখ কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। দুই পায়ে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে ও ডান হাতে হাতকড়া লাগানো অবস্থায় হাসপাতালের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। আবার ওই হাতে একগুচ্ছ দড়ি পেচানো রয়েছে। তার শরীরে ডান্ডাবেড়ি এবং হাতকড়া এমনভাবে লাগানো সামান্য নড়েচড়ে বসার কোনো সুযোগ নেই। 

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের পর আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৪টি মামলা করে পুলিশ। ২ নভেম্বর সদর উপজেলার আমদাবাদ কলেজ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

এ সময়ও তার পায়ের ডান্ডাবেড়ি খোলা হয়নি। এমনকি খাওয়ার সময়ও হাতকড়া খুলে দেয়নি পুলিশ। রোগীর সঙ্গে স্বজনদের ঠিকমতো দেখা করতেও দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনেরা।

নিউজজি/এমএফ/নাসি 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন