শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ , ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

দেশ
  >
জনপদ

ডিএনএ টেস্টের পর মায়ের কোলে সেই কন্যা শিশু

ময়মনসিংহ অফিস ১১ জানুয়ারি , ২০১৮, ২০:০৭:৫৮

3K
  • ছবি: নিউজজি

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে বাচ্চা বদল বিতর্কের এক মাস পর ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে প্রকৃত বাবা-মায়ের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে আলোচিত কন্যা শিশুকে।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে পুলিশ, কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সের উপস্থিতিতে বাবা-মায়ের কাছে কন্যা শিশুটিকে তুলে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

দীর্ঘ এক মাস ধরে শিশুটির মা পাপিয়া আক্তার নানা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকলেও পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে এক মাস পর নিজ কন্যা শিশুকে কোলে পেয়ে খুশি। সেইসাথে হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধানসহ স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারাও এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

মমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. লক্ষী নারায়ণ ও কন্যা শিশুর মা পাপিয়া আক্তার জানান, গাইনী লেবার ওয়ার্ডে প্রসবের সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকের লেখায় ভুল ও গাফিলতিতে এমনটি হয়েছে।

জানা যায়, ময়মনসিংহ সদরের বাদেকল্পা গ্রামের মনোয়ার হোসেন মনুর স্ত্রী পাপিয়া আক্তার গত বছরের ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনী লেবার ওয়ার্ডে নরমাল সন্তান প্রসব করে। এ সময় বলা হয় শিশুটি ছেলে। পাপিয়ার ভর্তির টিকেটেও শিশুটির পরিচয় লেখা হয় ছেলে শিশু হিসেবে। জন্ম নেবার পর থেকেই শিশুটি শ্বাসকষ্টসহ কান্না না করায় ওইদিনই নবজাতক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। কিন্তু গত ১৮ ডিসেম্বর বিকেলে ছুটি দেয়ার সময় মেয়ে শিশুকে মা পাপিয়া আক্তারের কোলে তুলে দেয়ায় ছেলে শিশুর দাবি করলে এতে বিপত্তি দেখা দেয়।

পরে আদালতের মাধ্যমে প্রকৃত অবস্থা শনাক্তে ডিএনএ টেস্টের উদ্যোগ নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ। এক মাস পর ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়ার পরই পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আদালতের নির্দেশে মা পাপিয়ার কাছে তুলে দেয় কন্যা শিশুকে।

এদিকে, কন্যা শিশুকে কোলে পেয়ে আবেগে মা পাপিয়া জানান, গাইনী ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের ভুলে এমনটি হয়েছে। তার পরও তিনি সন্তানকে ফিরে পেয়ে আনন্দিত।

মমেক হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডের প্রধান ও ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে কোনো কারসাজি ছিল না। তার পরও এটি প্রমাণিত হওয়ায় তিনিও গর্ববোধ করছেন।

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাপসাতালের উপ-পরিচালক ডা. লক্ষী নারায়ণ মজুমদার জানান, ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমেই এ জটিলতার অবসান হয়েছে।

নিউজজি/জেডকে

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন